র্যাবের হাতে আটক চিত্রনায়িকা পরীমনি টাকার নেশায় সিনে জগতের আড়ালে নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় নাম লেখান বলে জানা গেছে। এছাড়া তিনি ব্ল্যাকমেইলিং ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। গ্রেফতার মডেল পিয়াসাসহ ঢাকার শোবিজ তারকাদের অনেকেই পরীমনির সহযোগী। চক্রের বেশ কয়েকজন মাদক ও অস্ত্র কারবারের সঙ্গেও জড়িয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, টাকার নেশায় সিনে জগতের আড়ালে নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় নাম লেখান এই নায়িকা। পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র বলছে, কয়েকটি ব্যাংকে পরীর মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি পেয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। টাকার নেশা তাকে ছাড়ে না। একপর্যায়ে নাম লেখান পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ জগতে। এজন্য পরী তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নো ছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন।
এ বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা অনুসন্ধান চলমান। বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল ৪টার কিছু পর সাদা পোশাকে র্যাবের ৩-৪ জন সদস্য পরীমনির বাসায় গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। বাইরে অবস্থান নেয় র্যাবের পোশাকধারী সদস্যরা। কিন্তু পরীমনি দরজা না খুলে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। উলটো ফেসবুক লাইভে এসে অভিযানে যাওয়া র্যাব সদস্যদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ান। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার পর পরীমনিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র্যাব।